করোনা টিকা প্রথম ধাপে প্রয়োগের জন্যে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ময়মনসিংহে পৌঁছেছে তিন লাখ ২৪ হাজার ডোজ করোনার টিকা।
ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন এবিএম মশিউল আলম শুক্রবার দুপুরে করোনার টিকা আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘টিকাগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় জেলা ইপিআই ভবনের কোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়েছে। আমাদের সংরক্ষণে ছয় লাখ টিকা রাখার ব্যবস্থা আছে।’
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ময়মনসিংহ মহানগরীতে আটটি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেয়া হবে। প্রতি কেন্দ্রে চার জন নার্স ও চার জন স্বেচ্ছাসেবক রাখা হবে। প্রতি উপজেলায় দুটি করে করোনার টিকা প্রয়োগের কেন্দ্র খোলা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
সিভিল সার্জন মশিউল আরও জানান, টিকা দেয়া শুরুর আগে যারা টিকা দেবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। শনিবার থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষের চাপ বাড়লে সিটিতে আরও দশটি কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে মেডিক্যাল টিম, বিছানা ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র প্রস্তুত থাকবে।
‘প্রথম পর্যায়ে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কিছু নির্বাচিত মানুষকে টিকা দেয়া হবে। ইতিমধ্যে তাদের তালিকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তবে টিকা দেয়ার তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি।’
প্রথম ধাপে প্রয়োগের জন্য গত ২৫ জানুয়ারি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের পাঠানো ৫০ লাখ টিকা দেশে আসে। এর আগে ভারত সরকারের দেয়া ২০ লাখ টিকা আসে উপহার হিসাবে।
সিরাম থেকে সরকার মোট তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা কিনেছে। গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিরামের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা আসবে। আর বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে আন্তর্জাতিক জোট কোভ্যাক্স দেবে পৌনে সাত কোটি টিকা, যা আসবে জুন নাগাদ।
প্রথম ধাপে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ, জনপ্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টিকা দেয়ার কথা আগেই জানিয়েছে সরকার।
টিকা পেতে আগ্রহীদেরকে নিবন্ধনের জন্য ২৬ জানুয়ারি থেকে চালু হয়েছে সুরক্ষা অ্যাপ। অবশ্য যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না, তারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।